প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক চলছে, যেখানে আগামী নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ এবং দেশব্যাপী বিভিন্ন সংস্কারের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কমিশনের সদস্যরা সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন, যেগুলোর মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান এবং দুর্নীতি দমন অন্তর্ভুক্ত।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়ে দেন যে, নির্বাচন কবে হবে তা নির্ভর করবে জুলাই চার্টারের ওপর। এই চার্টার বাস্তবায়নের পর, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলে, নির্বাচন কমিশন তা সুনির্দিষ্ট করবে। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখ করেছেন, তবে তার জন্য কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সেগুলি পরবর্তী সরকার কার্যকর করবে।
কমিশনের কাজ মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গঠন এবং দেশে উন্নয়নমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা। বৈঠকে অংশ নেওয়া দলের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এলডিপি, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় পার্টি (জাফর), বিজেপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি এবং অন্যান্য দলগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত আছেন।
এর আগে, ৮ ফেব্রুয়ারি, সরকার সাত সদস্যের একটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে, যার সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সহ-সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ রয়েছেন। এছাড়াও, কমিশনে জনপ্রশাসন, পুলিশ, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার বিষয়ক প্রধানরা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস, যার মধ্যে তারা নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের সুপারিশ করবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি করা এবং তারা যদি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে, তবে তা হবে জাতীয় উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।